শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

সিগগিরই পাশ হচ্ছে অবৈধ জমি দখল উদ্ধার আইন: রেলমন্ত্রী

সিগগিরই পাশ হচ্ছে অবৈধ জমি দখল উদ্ধার আইন: রেলমন্ত্রী

রেলওয়ের অবৈধ জমি দখল উদ্ধার আইন পাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। খুব সিগগিরই এই আইন বাস্তবায়ণ হওয়ার কথা জানানপ রেলপথমন্ত্রী। চট্টগ্রামে ভুমি দষ্যু আওয়ামীলিগ নেতা বাবর আলী এবং বিএনপির নেতা শাহ আলমের কাছে জিম্মি সিআরবির কর্মকর্তারা। এ কথার অকপটেই স্বীকার করলেন চট্টগ্রামের সহকারী ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, বৈধভাবে রেলওয়ের সম্পত্তি লিজ নেয় ১ বিঘা। তার আশে পাশের সরকারি সকল জমি লিজকৃত ব্যক্তিরা তাদের দখলে নিয়ে নেয়। প্রভাবশালী বাবর আলী ও শাহ আলমের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ। ভুমি দষ্যুদের এমন কর্মকা-ে ক্ষুদ্ধ রেলমন্ত্রী। তাদের কালো হাত দমনে সরকার ভুমি আইন পাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.নূরুল ইসলাম সুজন। একান্ত এক স্বাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী জানান সরকারি জমি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার হবে। কেউ অবৈধভাবে ভোগ দখল করতে পারবেনা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এসব জমি উদ্ধারে কিছু সময় লাগবে। ভুমি দষ্যুদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ অনুসন্ধানে সরেজমিন যাওয়া হয় চট্টগ্রাম। আওয়ামীলিগ নেতা বাবর এবং বিএনপির নেতা শাহ আলমের তা-বের প্রমানও পাওয়া যায় ওই এলাকায়। জমি দখলের বিষয়ে শাহ আলমের সাথে ফোনে কথাও বলা হয়। অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করে জানান আমরা রেলওয়ের জমি বৈধভাবে লীজ নিয়েছি। বাবরের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে গোপন সূত্রে জানা যায় চট্টগ্রামের কারাগারের ভিতরে এক হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। ওই খুনের মামলায় বাবর আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়। আত্মরক্ষায় তিনি দেশ ত্যাগ করে ডুবাইতে অবস্থান করছেন। তবে তার বাহিনীর দখলে রয়েছে চট্টগ্রামের সকল কর্মকা-। লীজ এবং দখলের বিষয়ে প্রধান ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা দখলের বিষয়ে স্বীকার করতে নারাজ। তবে কথার একপর্যায়ে নিজের অসহাত্ত্বের কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে পূর্বের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুমি দষ্যুরা ভূয়া কাগজপত্র ও জাল দলিল তৈরী করে দখল করছে রেলওয়ের জমি। তৈরী করা হচ্ছে বহুতল ভবন ও মার্কেট।

উল্লেখ্য, রেলওয়ের তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকার ভূমি অবৈধ দখলদারদের কবলে রয়েছে। বৈধতার আড়ালেও চলছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য। নানা কৌশলে ভূমি দখল, বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম রেলকে ঘিরে গড়ে উঠা ‘মাফিয়া চক্র’ কোটি কোটি টাকার হরিলুটও চালাচ্ছে। এক বছর মেয়াদে লিজ নেয়া হয়েছে রেল থেকে। কেউ কেউ নিয়েছে কৃষি লিজ। কিন্তু এই লিজকৃত ভূমিতে মার্কেট তৈরি করে শত কোটি টাকার দোকান বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র আইস ফ্যাক্টরি রোডে রেলওয়ের কয়েকশ’ কোটি টাকার জায়াগা লিজ নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নানা পন্থায় লোপাট করছে। রেলওয়ের ওই শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষায়- ‘ওরা মাফিয়া’। এদের অপতৎপরতার কাছে পুরো রেলওয়ে জিম্মি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাম্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর এলাকা নিয়ে রেলের চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগে রেলের মোট ভূ-সম্পত্তির পরিমাণ ৭২৭১.৭৩ একর। এরমধ্যে রেলওয়ে স্টেশন, রেল লাইনসহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয় ৪৩৯৬ একর। অবশিষ্ট ২৮৭৫.৭৩ একর ভূমি রেলের কোন কাজে ব্যবহৃত হয় না। এরমধ্যে ১৫৭৮.২৬ একর ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে ৪৫৪.৬২ একর। কৃষি কাজের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে ৯০৮.৪৭ একর। মৎস্য খাতে দীঘি ও পুকুর হিসেবে ইজারা দেয়া হয়েছে ১৭০.৩৩ একর। নার্সারীর জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে ১.৬১ একর। সিএনজি স্টেশনকে ইজারা দেয়া হয়েছে ৫.৫৯ একর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়া হয়েছে ৩৭.৬৪ একর। এর বাইরে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকার ১৬৯.৮২ একর ভূমি অবৈধ দখলদারদের কবলে আছে। নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোড, কদমতলী, পাহাড়তলী, টাইগার পাস, খুলশী, আমবাগান, আকবর শাহ, ফয়’স লেকসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলওয়ের মূল্যবান জমি নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের অপতৎপরতা চলে আসছে বহুদিন ধরে।
রেলের জমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অফিস করেছে। ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনের বিপরীতে রাস্তার পাশের এসব দোকানের এক একটি দুই তিন লাখ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD